পদার্থ কাকে বলে ?কত প্রকার ও কি কি?

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা জানবো বিজ্ঞানের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সম্পর্কে । সাধারন বিজ্ঞান ও পদার্থ বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পদার্থ কি । আমরা সবাই প্রাত্যহিক জীবনে পদার্থএর সাথে কোন না কোন ভাবে জড়িত। । আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানবো পদার্থ কাকে বলে?পদার্থ প্রকারভেদ সম্পর্কে। প্রিয় পাঠক তাহলে আর দেরি না করে সম্পূর্ণ পোস্টটি ভালভাবে পড়ুন তাহলে পদার্থ প্রকারভেদ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়ে যাবেন।
পদার্থ কাকে বলে ?
যার ভর আছে ,স্থান দখল করে,বল প্রয়োগ করলে বাধাঁ সৃষ্টি করে এবং যা পাঁচটি ইন্দ্রিয় দ্বারা অনুভব করা যায় , তাকে পদার্থ বলে । অন্যভাবে বলা যায় চিরায়ত বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে যা কিছু কোনও স্থান বা আয়তন দখল করে এবং জড়তা (বা ভর) ও মহাকর্ষ ধর্ম প্রদর্শন করে, তাকে পদার্থ বলে।
আপনি পছন্দ করতে পারেনঃ
পদার্থ কত প্রকার ও কি কি?
অবস্থা ভেদে পদার্থকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়ঃ
১. কঠিন পদার্থ(Solid Matter)
২. তরল পদার্থ(Liquid Matter)
৩. বায়বীয় পদার্থ(Gaseous Matter)
১. কঠিন পদার্থ(Solid Matter):
কঠিন পদার্থের নিদিষ্ট আকার ও আয়তন আছে । স্বাভাবিক অবস্থায় এর আকার ও আয়তনের পরিবর্তন হয় না । যেমনঃ ইট, পাথর,লোহা, কাঠ ইত্যাদী ।
২. তরল পদার্থ(Liquid Matter):
তরল পদার্থের আয়তন আছে । কিন্তু কোন আকার নেই ।একে যে পাত্রে রাখা হয় সে পাত্রের আকার ধারণ করে । পদার্থের এই অবস্থাকে তরল পদার্থ বলে ।যেমনঃ পানি, তৈল, দুধ ইত্যাদি ।
৩. বায়বীয় পদার্থ(Gaseous Matter):
বায়বীয় পদার্থের স্থায়ী কোণ আকার বা আয়তন নেই ।কিছু পরিমান গ্যাস একটি ছোট পাত্রকে যে রূপ ভাবে পূর্ণ করতে পারে একটি বড় পাত্রকেও সে রূপ ভাবে পূর্ণ করতে পারে । পদার্থের এ অবস্তাকে বায়বীয় পদার্থ বলে । যেমনঃ অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বনডাই অক্সাইড ইত্যাদি।
এছাড়া পদার্থের আরেকটি বিশেষ অবস্থা হলো প্লাজমা অবস্থা যা পদার্থের চতুর্থ অবস্থা হিসেবে ধরা হয়। উচ্চ তাপমাত্রা ও চাপে গ্যাসীয় পদার্থ আয়নিত অবস্থায় থাকে। একেই পদার্থের প্লাজমা অবস্থা বলে। যেমনঃ সূর্যের মধ্যে প্লাজমা অবস্থা দেখা যায়।
গঠন অনুসারে পদার্থকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছেঃ
১. মৌলিক পদার্থ(Element matter)
২. যৌগিক পদার্থ(Compound matter)
১. মৌলিক পদার্থ(Element matter):যে বিশুদ্ব পদার্থ তার মৌলিক গুনাবলী অক্ষুন্ন রেখে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহন করতে পারে তাকে মৌলিক পদার্থ বলে ।যেমনঃ অক্সিজেন, হাইড্রোজেন, লোহা, রুপা ইত্যাদী ।
২. যৌগিক পদার্থ(Compound matter): যে পদার্থকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ভাঙ্গলে দুই বা ততোধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায় তাকে যৌগিক পদার্থ বলে । যেমনঃপানি, সালফিউরিক এসিড, লবন, বায়ু ইত্যাদি।
গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। এছাড়াও কোনো প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে তা আমাদের কমেন্ট করে জানান।
আরও দেখুনঃ