Assignment

আমার দৈনন্দিন জীবনে অনুশীলনকৃত ব্যায়াম ও তার উপকারিতা

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করছি সবাই ভালো আছো। তোমরা কি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১০ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এর বাছাইকরা নমুনা উত্তর সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছো? কিংবা এসাইনমেন্টটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে বলবো তোমরা ঠিক ওয়েবসাইটে এসেছো। তোমাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে রয়েছে- আমার দৈনন্দিন জীবনে অনুশীলনকৃত ব্যায়াম ও তার উপকারিতা।

৬ষ্ঠ শ্রেণি ১০ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ শ্রেণির ১০ম সপ্তাহের সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির আলোকে শিক্ষার্থীদের শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পাঠ্যবই থেকে একটি অ্যাসাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট।

শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় এসাইনমেন্ট এর সাথে ষষ্ঠ শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করে যথা নিয়মে সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে শিক্ষকের নিকট জমা দিতে হবে।

আর দেখুন: Justify the statement – Festivals are for everyone.

1-compressed-page-005

শ্রেণিঃ ৬ষ্ঠ, বিষয়ঃ শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, এ্যাসাইনমেন্ট নং-০২

অধ্যায় ও শিরোনামঃ প্রথম, শরীরচর্চা ও সুস্থ্যজীবন;

পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তুঃ

  • ১. প্রত্যাহিক সমাবেশের ধারণা ও প্রয়োজনীয়তা,
  • ২. ব্যায়ামের উপকারিতা,
  • ৩. ব্যায়ামের নিয়ম কানুন,
  • ৪. সমবেত ব্যায়াম,
  • ৫. সরঞ্জাম হীন ব্যায়ামঃ পুসআপ, পুলআপ, চিনআপ, সিটআপ, শর্ট জাম্প, ফ্লেক্সিবিলিটি, হাফ সিটেড এলবো, রানিং, জাম্পিং এন্ড থ্রোইন।

অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ আমার দৈনন্দিন জীবনে অনুশীলনকৃত ব্যায়াম ও তার উপকারিতা।

অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নির্দেশনাঃ

  • ১. ভূমিকা,
  • ২. ব্যায়াম কি?
  • ৩. ব্যায়ামের সাথে জীবনের সম্পর্ক,
  • ৪. তোমার অনুশীলন কৃত ব্যায়ামের তালিকা ও প্রকার,
  • ৫. উপকারিতা,
  • ৬. সিদ্ধান্ত।

৬ষ্ঠ শ্রেণি ১০ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এর বাছাইকরা নমুনা উত্তর

ভূমিকাঃ সুস্থ দেহেই সুস্থ মনের বাস। আর সুস্থ-সুন্দর মনই পারে একটা উন্নত জাতির জন্ম দিতে। সুস্থ ও উন্নত জাতি দেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির স্বর্ণশিখরে আরােহণ করাতে পারে। দেশকে সমৃদ্ধিশালী করার এ ধারাবাহিকতাকে ক্রমানুসারে সাজালে আমার পাই, সুস্থ দেহ- সুস্থ মন, উন্নত জাতি, উন্নত দেশ। অথাৎ গােড়ার কথা হলাে শারীরিক সুস্থতা। এর জন্যে চাই নিয়মিত ব্যায়াম। কেননা ব্যায়মই দৈহিক শক্তি লাভের তথা সবল স্বাস্থ্য লাভের পথ উন্মুক্ত করে দেয়।

ব্যায়ামঃ দেহ ও মনের সুস্থতা ও আনন্দলাভের জন্য শারীরিক অঙ্গ সঞ্চালনকে ব্যায়াম বলে। ব্যায়াম যেকোন শারীরিক কার্যক্রম যা শারীরিক সুস্থতা রক্ষা বা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এর অপর একটি অর্থ হল শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত আন্দোলন। খেলাধুলাও ব্যায়াম এর অন্তর্ভুক্ত। খেলাধুলার মাধ্যমে অঙ্গ সঞ্চালন হয় এবং আনন্দ লাভ করা যায়। বিভিন্ন চিত্ত বিনােদন মূলক খেলার মাধ্যমে অঙ্গসঞ্চালন বা ব্যায়াম করা যায়। শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা রক্ষার্থে ব্যায়ামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রমাণিত।

ব্যায়ামের সাথে জীবনের সম্পর্কঃ জীবনের সাথে ব্যায়ামের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। জীবনে সফল হতে হলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়াম মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্যায়াম মানুষের মৃত্যুঝুঁকি কমায়। পরিমিত ব্যায়াম মানুষের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। মানুষের ব্যক্তিত্ব তৈরিতে ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরের রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যায়াম এর গুরুত্ব অপরিসীম। নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে শৃঙ্খলাবােধ ও নেতৃত্বের গুণাবলী গড়ে ওঠে। যা প্রত্যাহিক জীবনে সুশৃংখল জীবনযাপনের সাহায্য করে। সামাজিক গুণাবলী অর্জনে ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আমাদের জীবনে ব্যায়ামের অবদান অনস্বীকার্য।

ব্যায়ামের প্রকার:

ব্যায়াম দুই ধরনের। যথাঃ

  • ১) সাধারণ ব্যায়ামঃ শরীর গরম করার জন্য যে কোন ধরনের ব্যায়ামকে সাধারণ ব্যায়াম বলে।
  • ২) নিদিষ্ট ব্যায়ামঃ কোন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা সকল অঙ্গের উন্নতির জন্য যে ব্যায়াম হয় তাকে নির্দিষ্ট ব্যায়াম বলে।

আমার অনুশীলনকৃত একটি ব্যায়াম এর তালিকা নিয়ে তৈরি করা হলােঃ

ক্রমিক নং অনুশীলনকৃত ব্যায়াম প্রকার
পুশ আপ, সিট আপ,বডিবেন্ডিং ফরওয়ার্ড ও সাধারণ ব্যায়াম হাফ সিটেড এলবাে ব্যালেন্স। সাধারণ ব্যায়াম
স্পট জাম্প, দৌড়, জাম্পিং ও দরির লাফ নির্দিষ্ট ব্যায়াম

উপকারিতাঃ

ব্যায়ামের মাধ্যমে যেসব উপকার পাওয়া যায় তা সংক্ষেপে নিম্নে উপস্থাপন করলামঃ

(১) অঙ্গপ্রত্যঙ্গের উন্নতিঃ ব্যায়াম দেহ কাঠামাের সুষম উন্নতি ও বৃদ্ধি সাধন করে। দেহের উন্নতির সাথে সাথে মনকে সতেজ করে। ফলে শরীরের শক্তি ও সহনশীলতা বাড়ে। ব্যায়ামের ফলে শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়, হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ে এবং হজমশক্তি ও রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

(২) পাঠের একঘেয়েমি দূর করেঃ শ্রেণিকক্ষে একটানা লেখাপড়া করলে। ক্লান্তি ও একঘেয়েমি আসে । লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা”করলে। পাঠের একঘেয়েমি ও মানসিক ক্লান্তি দূর হয়, মনে সজীবতা আসে ও পড়াশােনায় মন বসে ।

(৩) স্নায়ু ও মাংসপেশির সমন্বিত উন্নয়নঃ শৈশবে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দ্রুত বেড়ে ওঠে। শরীর বৃদ্ধি পেলেও অনেক সময় তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে মানসিক বিকাশ হয় না। এর সমন্বয় ঘটানাের জন্য সঠিক নিয়মে অঙ্গসঞ্চালন প্রয়ােজন। হাত, পা ও শরীরের ব্যায়াম একসাথে করতে হবে। শুধু হাতের ব্যায়াম করলে হাতের শক্তি বাড়বে আবার পায়ের ব্যায়াম করলে পায়ের মাংসপেশি বৃদ্ধি পাবে। সেজন্য শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ব্যায়ামের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে অনুশীলন করতে হয়।

(৪) সুশৃঙ্খল জীবনযাপনঃ নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মধ্যে শৃংখলাবােধ ও নেতৃত্বের গুণাবলি গড়ে উঠবে। ফলে শিক্ষার্থী প্রাত্যহিক জীবনে সুশৃংখল জীবনযাপনে অভ্যস্থ হবে ।

(৫) সামাজিক গুণাবলি অর্জনঃ দলগত খেলাধুলা বা ব্যায়াম করলে শিক্ষক বা দলনেতার আদেশ মেনে শৃঙ্খলার সাথে খেলতে হয়। খেলায় হেরে গেলেও মেজাজ ও আবেগ নিয়ন্ত্রণে রেখে কাজ করতে হয়। আদেশ মেনে চলা, শৃঙ্খলা বজায় রাখা, মেজাজ ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা, সহযােগিতা করা- এই সামাজিক গুণগুলাে ব্যায়ামের মাধ্যমে অর্জন করা যায়। নিয়মিত ব্যায়াম খুবই প্রয়ােজন শারীরিক ফিটনেস ও ভালাে স্বাস্থ্যের জন্য। এটা বড় বড় রােগ যেমন হৃদরােগ, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিকস ও অন্যান্য রােগ হওয়ার ঝুঁকি কমায়। তাই সুস্থ থাকতে ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই ।

সিদ্ধান্তঃ

সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে দৈহিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য শরীরচর্চার সূত্রপাত হয়। কেননা যেকোনাে সৃষ্টির পেছনে যে অক্লান্ত পরিশ্রম দরকার তার জন্য শারীরিক দক্ষতা সর্বাগ্রে বিবেচ্য। তাই সভ্যতার গােড়াপত্তনের সাথে সাথেই শরীরচর্চার প্রয়ােজনীয়তা উপলব্ধি হয়। আমাদের দেশ দারিদ্র্যনির্ভর দেশ। দারিদ্র্যের কশাঘাত থেকে মুক্ত করতে হলে প্রযােজন উৎপাদনমুখী ব্যাপক পরিকল্পনা আর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে প্রযােজন দক্ষ ও কর্মক্ষম জনশক্তি। আর শরীরচর্চার মাধ্যমেই গড়ে উঠবে সেই জনশক্তি। তাই জীবনকে সুন্দর ও সার্থক করে তুলতে হলে নিয়মিত এবং পরিমিত শরীরচর্চার প্রতি মনােযােগী হতে হবে।

এই ছিল তোমাদের ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১০ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এর বাছাইকরা নমুনা উত্তর।

আরও দেখুন:

 

Tags

Siam Shihab

Hello, I'm Siam Shihab. I write Content about all Trending News and Information. I'm working on this Website since June 2021. You can Visit my Profile page to read all of my content. Thank You so much to know about me.
Back to top button
Close