Tech

ভাইরাস ও ম্যালওয়্যারের মধ্যে পার্থক্য গুলো জেনে সতর্ক হোন

অনেকেই মনে করেন ভাইরাস ও ম্যালওয়্যারের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কিন্তু আসলে ম্যালওয়্যার ও ভাইরাসের মধ্যে পার্থক্য আছে।

হাইস্কুলের মাঝামাঝি এসে একটা জনপ্রিয় লাইনের সাথে সবারই পরিচয় হয়েছিল। লাইনটি হলো, “সকল ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়।” এই লাইনটির সাথে কেন জুড়ে দিয়ে আমাদের কেমিস্ট্রির টিচার কত যে প্রশ্ন করেছেন, তা বর্ণনার অতীত।
এখন কথা হলো, আমাদের আজকের টপিকের সাথে এই লাইনের সম্পর্ক কী? উত্তর হলো- সম্পর্ক আছে, এবং খুব গুরুতর সম্পর্ক। ম্যালওয়্যার ও ভাইরাসকে নিয়েও এমন কথা বলা হয়ে থাকে, কথাটি হলো, “সকল ভাইরাসই ম্যালওয়্যার কিন্তু সকল ম্যালওয়্যার ভাইরাস নয়” অর্থাৎ, ভাইরাস আর ম্যালওয়্যারে পার্থক্য আছে তা তো জানা গেলো। এখন চলুন জেনে নেয়া যাক যে, ম্যালওয়্যার বলতে আমরা কি বুঝি?  আর ভাইরাসই বা কি?

ভাইরাস কি?

প্রথমে শুরু করছি ভাইরাস দিয়ে। বায়োলজিতে ভাইরাস শব্দটার সাথে আমরা ভীষণভাবে পরিচিত। বায়োলজিতে ভাইরাস বলতে আমরা বুঝি, ক্ষুদ্র অণুজীব যারা কোনো দেহে প্রবেশের মাধ্যমে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য উক্ত দেহে প্রবেশ করিয়ে দেয়।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে,  এই ভাইরাস গুলো নিজেদের প্রতিলিপি তৈরী করতে পারে এবং ভাইরাস সম্পর্কে এটিই হলো সবচেয়ে ভয়ের কারণ। ডিজিটাল ভাইরাস গুলোর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য,  নিজেদের বংশ বিস্তারের ক্ষেত্রে এরা অনেকটা বায়োলজিকাল ভাইরাসের মতই আচরণ করে থাকে।
Antivirus-On-page-7-min
কোনো ভাইরাস আক্রান্ত পেনড্রাইভ বা সিডি কোনো কম্পিউটার বা এ জাতীয় ডিভাইসে ব্যবহার করার ফলে আক্রান্ত ডিভাইসের ভাইরাসগুলো ভালো ডিভাইসটিতে ট্রান্সমিটেড হয় এবং নিজের ক্ষতিকর কাজ করে থাকে।
আসলে, বায়োলজিকাল কিংবা ডিজিটাল, যে ভাইরাসই বলুন, এদের প্রতিলিপি তৈরী  করার ক্ষমতা না থাকলে ভাইরাস ব্যাপারটা এতটা ভয়ের হতো না। সোয়াইন ফ্লুর ভাইরাস যেমন আপনার শরীরে ঢুকে চুপ করে বসে না থেকে প্রতিলিপি তৈরী করে আপনাকে অসুস্থ করে দেবে, তেমনি ডিজিটাল ভাইরাসগুলো তাদের কোড ইঞ্জেক্ট করার মাধ্যমে আপনার ডিভাইসের সর্বত্র এর কপিগুলো পাঠাতে থাকে এবং বিভিন্ন ফাইলকে আক্রান্ত করে দেয়। ফলে, পার্মানেন্ট ডেটা লস হওয়ার খুব জোরদার সম্ভাবনা থাকে।

ম্যালওয়্যার কি?

অন্যদিকে ম্যালওয়্যার হলো ক্ষতিকর প্রোগ্রাম যা ভাইরাসের মত আরো অনেক ধরণের সম্বলিত নাম। ভাইরাস ছাড়াও ম্যালওয়্যার এর আরো নানা প্রকারভেদ রয়েছে। যেমন,
  • Trojan Horse
  • Adware
  • Spyware
এখন আমরা বিভিন্ন ম্যালওয়্যারের সংক্ষিপ্ত পরিচয় জানবো।

ট্রোজান

এ ধরণের ম্যালওয়্যারের কোডিং এমনভাবে করা থাকে যার ফলে এদের দেখতে স্বাভাবিক সফটওয়্যার এর মতোই মনে হয়। তবে, এর কার্যকারিতা শুরু হয় যখন এদের ভালো ইলিমেন্ট ভেবে ব্যবহারকারী ব্যবহার করা শুরু করে দেয়। Trojan এর সাথে একটা শব্দ খুব পরিচিত, Ddos. এটি মূলত একটি একাধিক ডিভাইসকে একটি ট্রোজানের মাধ্যমে এট্যাক করে তথ্য চুরি করার একটি প্রক্রিয়া।

আরও দেখুন: পাসওয়ার্ড ম্যানেজার কি? ৫টি সেরা পাসওয়ার্ড ম্যানেজার

অ্যাডওয়্যার

এ ধরণের ম্যালওয়্যার গুলো তেমন কোনো ক্ষতি করেনা, তবে বারবার বিজ্ঞাপন দেখানোর মতো বিরক্তিকর কাজ করে। এদের ব্যবহারের উদ্দেশ্য হলো ব্যবহারকারী যাতে বিজ্ঞাপনে দেয়া পণ্যটি ক্রয় করে নেয়।

স্পাইওয়্যার

এ ধরণের ম্যালওয়্যার গুলো মূলত ব্যবহারকারীর তথ্য গুলোকে পাচার করে থাকে। যেমন,  ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের পিন,  পাসওয়ার্ড ইত্যাদি।
এই ছিল মূলত  ম্যালওয়্যার আর ভাইরাসের মধ্যে পার্থক্য।

Siam Shihab

Hello, I'm Siam Shihab. I write Content about all Trending News and Information. I'm working on this Website since June 2021. You can Visit my Profile page to read all of my content. Thank You so much to know about me.
Back to top button
Close