Assignment

যুক্তিবিদ্যা বিজ্ঞান ও কলা উভয়ই- ধারণাটির যথার্থতা যাচাই

এইচএসসি ২০২৩ এর মানবিক বিভাগের সুপ্রিয় পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমাদের জন্য প্রণীত এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ যুক্তি বিদ্যা প্রথম পত্র ১ম অ্যাসাইনমেন্ট এর বাছাইকরা নমুনা উত্তর (যুক্তিবিদ্যা বিজ্ঞান ও কলা উভয়ই- ধারণাটির যথার্থতা যাচাই) প্রণয়ন করা হয়েছে। তোমরা যারা সরকারি, বেসরকারি কলেজের এইচএসসি ২০২৩ পরীক্ষার্থী আছো তোমাদের ১ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট যুক্তি বিদ্যা প্রথম পত্র বিষয়ের একটি নির্ধারিত কাজ দেয়া হয়েছিল। যথাযথ মূল্যায়ন নির্দেশনা অনুসরণ করে তোমাদের জন্য যুক্তি বিদ্যা প্রথম পত্র ১ম এ্যাসাইনমেন্ট এর বাছাইকরা নমুনা উত্তর দেওয়া হল।

মানবিক বিভাগের যুক্তিবিদ্যা প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট পেপার অন করা হয়েছে পাঠ্য বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের যুক্তিবিদ্যা পরিচিতি থেকে। এসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে গেলে শিক্ষার্থীরা যুক্তিবিদ্যা ধারণা বর্ণনা করতে পারবে, বিভিন্ন যুক্তিবিদ্যার প্রদত্ত ধারণা বিশ্লেষণ এর তুলনা করতে পারবে, যুক্তিবিদ্যার স্বরূপ বিশ্লেষণ করতে পারবে।

২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার যুক্তি বিদ্যা প্রথম পত্র ১ম অ্যাসাইনমেন্ট

নিচে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার যুক্তি বিদ্যা প্রথম পত্র ১ম অ্যাসাইনমেন্ট (HSC 2024 Logic First Paper 1st Assignment) বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।

219409633-803328993714007-6318125616862866772-n

 

স্তর: এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩, বিভাগ: মানবিক, বিষয়ঃ যুক্তিবিদ্যা, পত্র: প্রথম, বিষয় কোড-১২১, অ্যাসাইনমেন্ট নং-১

অধ্যায় ও শিরোনামঃ প্রথম অধ্যায়: যুক্তিবিদ্যা পরিচিতি;

অ্যাসাইনমেন্টঃ যুক্তিবিদ্যা বিজ্ঞান ও কলা উভয়ই ধারণাটির যথার্থতা যাচাই

শিখনফল/বিষয়বস্তুঃ যুক্তিবিদ্যার ধারণাবর্ণনা করতে পারবে। বিভিন্ন যুক্তিবিদের প্রদত্ত ধারণার বিশ্লেষণ ও তুলনা করতে পারবে। যুক্তিবিদ্যার স্বরূপ বিশ্লেষণ করতে পারবে।

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):

  • ক. যুক্তিবিদ্যার ধারণা ০ এরিস্টটল ০ জে.এস. মিল ০ যােসেফ ০ আই. এম. কপি
  • খ. বিজ্ঞান ও কলার বৈশিষ্ট্য।
  • গ. যুক্তিবিদ্যার স্বরূপ: যুক্তিবিদ্যা বিজ্ঞান না কলা;
  • ঘ. যুক্তিবিদ্যা বিজ্ঞান না কলা এই সম্পর্কে নিজস্ব মতামত;

২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার যুক্তি বিদ্যা প্রথম পত্র ১ম অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর

বৈধ যুক্তি ও অবৈধ যুক্তির পার্থক্যকারী নিয়ম সংক্রান্ত বিদ্যাকে যুক্তিবিদ্যা বলে। যুক্তিবিদ হ্যামিলটন, ম্যানসেল, টমসন প্রমুখ মনে করেন যুক্তিবিদ্যা কেবলমাত্র একটি বিজ্ঞান। তাদের মতে যুক্তিবিদ্যার কাজ হল যথার্থ যুক্তি পদ্ধতির নিয়ম সরবরাহ করা। অর্থাৎ চিন্তার মূল সূত্র বা নিয়ম বলে দেয়াই কেবল যুক্তিবিদ্যার কাজ। কাউকে দক্ষ যুক্তিবিদ বানানো যুক্তিবিদ্যার কাজ নয়। তাছাড়া যুক্তিবিদ্যা কোনো বস্তু নিয়ে কাজ করে না, বরং বিশুদ্ধ গণিতের মতো আকার বা নিয়ম সরবরাহ করে তাই যুক্তিবিদ্যাকে আকারগত বিজ্ঞান বলা হয়।

যুক্তিবিদ্যা হচ্ছে সেই বিজ্ঞান যা বিচার বা প্রমাণের মাধ্যমে জ্ঞাত সত্য থেকে অজ্ঞাত সত্যে উপনীত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় মননপ্রক্রিয়াসমূহ সম্পর্কে আলোচনা করে। অর্থাৎ, অনুমান ও অনুমান সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়াই হচ্ছে যুক্তিবিদ্যার মূল আলোচ্য বিষয়।

যুক্তিবিদ্যার ধারণাঃ

যুক্তিবিদ্যার ইংরেজি প্রতিশব্দ Logic এর উৎপত্তি হয়েছে গ্রিক শব্দ Logik থেকে৷ Logik শব্দটি আবার গ্রিক শব্ Logos এর বিশেষণ। Logos শব্দের অর্থ হলো চিন্তা বা ভাষা। আমরা জানি যে চিন্তার সাথে ভাষার সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। আমাদের মনের চিন্তা ধারাকে আমরা সব সময়ই ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করি। সুতরাং উৎপত্তিগত অর্থ যুক্তিবিদ্যা হল ভাষায় প্রকাশিত চিন্তার বিজ্ঞান।

অ্যারিস্টোটলের এর যুক্তিবিদ্যার ধারণাঃ

অ্যারিস্টোটল যুক্তিবিদ্যাকে জ্ঞানের পদ্ধতি নির্দেশকারী প্রারম্ভিক বিজ্ঞান বলেছেন। তার মতে যুক্তিবিদ্যার কাজ হলো জ্ঞানের পদ্ধতি নির্দেশ করা। জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখা প্রশাখা সুনির্দিষ্ট নিয়ম নীতি অনুসরণ করে, সেটা কলা কিংবা বিজ্ঞান যাই হোক না কেন। আর যুক্তিবিদ্যা চিন্তার বিজ্ঞান হিসেবে এসবের জন্য নিয়ম-নীতি সরবরাহ করে। যুক্তিবিদ্যার কাজেই হলো একটি চিন্তা বা আলোচনা কিভাবে সঠিক প্রক্রিয়ায় ব্যক্ত করা যায় তার নির্দেশ করা কিংবা কিভাবে উত্থাপন করলে তাকে বৈধ বা অবৈধ বলা যাবে তা বলে দেয়া। এ কারণেই এরিস্টোটল যুক্তিবিদ্যা প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন।

জেএস মিল এর যুক্তিবিদ্যার ধারণাঃ

জেএস মিল যুক্তিবিদ্যা ও নীতিবিদ্যার ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রাখেন। তিনি মনে করেন যে অবরোহ ও আরোহ যুক্তি বিদ্যার এ দুটি শাখার নিয়মেই হলো সত্য জ্ঞান অনুসন্ধান করা। তার মতে অবরোহ যুক্তি বিদ্যাঃ প্রতিষ্ঠিত সত্যের আলোকে আমাদের সত্ত অনুসন্ধানকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে এবং বিজ্ঞানের যুক্তিবিদ্যা আরোহ যুক্তিবিদ্যা সত্ত আবিষ্কারের জন্য আমাদেরকে প্রয়োজনীয় নিয়ম সরবরাহ করে। মিল তার A System of Logic গ্রন্থে যুক্তিবিদ্যার সংজ্ঞায় বলেন যুক্তিবিদ্যা হল আমাদের জ্ঞানগত প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য এমন বিজ্ঞান যা বিচার বা প্রমাণ এর মাধ্যমে জ্ঞান সত্ব থেকে অজ্ঞাত সত্যে উপনীত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বুদ্ধিগত কাজ ও বৌদ্ধিক ক্রিয়ার মানসিক প্রক্রিয়া সমূহ সম্পর্কে আলোচনা করে।

জোসেফ এর যুক্তিবিদ্যার ধারণাঃ

ব্রিটিশ অধ্যাপক হোরেস উইলিয়াম ব্রিন্ডলে জোসেফ তার A Introduction to logic বইয়ের যুক্তিবিদ্যার স্বরূপ নির্ধারণ করার চেষ্টা করেন। জোসেফ মনে করেন যে যুক্তিবিদ্যা বিজ্ঞান হিসেবে নিজস্ব আলোচনা বিষয়ের মূলনীতির ব্যাখ্যা করে। যেমন যুক্তিবিদ্যা সংজ্ঞা নিয়ম, যৌক্তিক বিভাজন এর মূলনীতি, অনুমান এর নিয়মাবলী নিয়ে আলোচনা করে। জোসেফ এর মতে যুক্তিবিদ্যা এমন একটি বিজ্ঞান যা চিন্তার সাধারণ নিয়ম গুলো সম্পর্কে আলোচনা করে।

আই. এম. কপি এর যুক্তিবিদ্যার ধারণাঃ

আমেরিকান অধ্যাপক আরভিং মারমার কপি যুক্তিবিদ্যার মূল কাজকে বিবেচনায় নিয়ে যুক্তিবিদ্যা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। কপি মনে করেন যে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যুক্তিবিদ্যার ব্যবহারকরা যায়। যুক্তিবিদ্যার পাঠ আমাদের শুদ্ধ যুক্তি থেকে অশুদ্ধ যুক্তির পার্থক্য করতে সহায়তা করে, জ্ঞান অনুসন্ধানকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং আমাদের আগ্রহের যেকোনো বিষয় বুঝতে সাহায্য করে। যুক্তিবিদ্যা আমাদের বুদ্ধিগত যোগ্যতাকে প্রসারিত করে এবং বাস্তব করে তুলে। যুক্তিবিদ্যা সকল ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য ও শুদ্ধ যুক্তি গঠনে সাহায্য করে।

বিজ্ঞান ও কলার বৈশিষ্ট্যঃ

বিজ্ঞান : যে জ্ঞানশাখা সুবিন্যস্ত ও সুশৃংখল প্রক্রিয়ায় বিশেষ কোন সত্য ঘটনা ঘটনার অন্তর্নিহিত নিয়ম আবিষ্কার করে, তাকে বিজ্ঞান বলে। যেমন- পদার্থবিদ্যা বিভিন্ন পদার্থ এর বৈশিষ্ট্য ও ক্রিয়া প্রত্যক্ষ করে এবং পরীক্ষণ প্রক্রিয়ায় সেগুলোকে বিশ্লেষণ করে কতগুলো সাধারণ নিয়মের আবিষ্কার করে। এসব সাধারণ নিয়মের সাহায্যে আবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে জড় পদার্থের বৈশিষ্ট্য ও ক্রিয়াকে ব্যাখ্যা করে। এভাবে প্রত্যেক বিজ্ঞানই এসব সাধারণ নিয়মের সাহায্যে প্রকৃতির বিশেষ বিশেষ বস্তু বা ঘটনা সম্পর্কে সুনিশ্চিত জ্ঞান দান করে থাকে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, বিজ্ঞানের কাজ হলো বিষয়বস্তু সম্পর্কে জ্ঞান দান করা। বিজ্ঞানের লক্ষ্য হলো ব্যবহারিক ও পরিপূর্ণ জ্ঞান অনুসন্ধান।

কলা : শিল্প বা কলার লক্ষ্য হলো কাজ নৈপুণ্য উৎপাদন। সৃজনশীল কাজে নৈপুণ্য উৎপাদনের জন্য বিশেষ বিশেষ নিয়ম বা পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। এ পদ্ধতি বা নিয়মও কলার অন্তর্গত। কলাবিদ্যা হলো এমন একটি জ্ঞান শাখা যা কোনো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আমাদের জ্ঞানকে বাস্তব ক্ষেত্রে সঠিকভাবে ব্যবহার বা প্রয়োগ করার বা কাজে লাগানোর রীতিনীতি শিক্ষা দেয়। অর্থাৎ অর্জিত জ্ঞানের দক্ষতা বা প্রায়োগিক কুশলতাই হলো কলাবিদ্যা। যেমন- চারুকলা শিক্ষা দেয় কিভাবে চিত্র আঁকতে হয়, নৌবিদ্যা আমাদের শিক্ষা দেয় কিভাবে নৌযান পরিচালনা করতে হয়, চিকিৎসাবিদ্যা শিক্ষা দেয় কিভাবে ঔষধ প্রয়োগ করে রোগ সারাতে হয়। এখন দেখা যাচ্ছে যে, প্রথমত কলাবিদ্যা বলতে বুঝায় কর্ম সম্পাদনের কৌশল। দ্বিতীয়ত কলাবিদ্যা বলতে বুঝায় দক্ষতা ও পারদর্শিতা। অর্থাৎ এক্ষেত্রে প্রয়োগিক কুশলতাই হলো কলাবিদ্যা। কলার মূল কথা হলো সৃজনশীলতা বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন আনয়ন। সৃজনশীল কাজে নৈপুণ্য উৎপাদনের জন্য বিশেষ বিশেষ নিয়ম বা পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। এই পদ্ধতি বা নিয়মও কলার অন্তর্ভুক্ত।

যুক্তিবিদ্যার স্বরূপ : যুক্তিবিদ্যা বিজ্ঞান না কলা-

বিজ্ঞান হিসেবে যুক্তিবিদ্যা:

বিজ্ঞানকে অনেকভাবেই শ্রেণীকরণ করা যায়। যেমন বস্তুগত বিজ্ঞান; যা বস্তুসত্তার প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করে এবং আকারগত বিজ্ঞান; যা বিষয় বা বস্তুর আকার নিয়ে আলোচনা করে। বিষয়বস্তু আলোচনা করার পদ্ধতির ভিত্তিতে বিজ্ঞান আবার দুই প্রকার। যথা-

  • বিষয়নিষ্ঠ বিজ্ঞান ও
  • আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান

যে বিজ্ঞান বস্তুর উৎপত্তি, স্বরূপ, বিকাশ এবং যথার্থ প্রকৃতির বর্ণনা দেয় তাকে বিষয়নিষ্ঠ বিজ্ঞান বলে। যেমন- প্রাণিবিদ্যা। প্রাণিবিদ্যা প্রাণীর উৎপত্তি, প্রকৃতি, আচরণ, বিকাশ ইত্যাদি যথার্থ প্রকৃতির বর্ণনা দেয়। অন্যদিকে যে বিজ্ঞান কোন আদর্শকে মানদন্ড হিসেবে গ্রহণ করে কোন বিষয়ের মূল্য বিচার তাকে আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান বলে। যেমন- নীতিবিদ্যা। নীতিবিদ্যার আদর্শ হলো উত্তম বা ভালো। অন্যভাবে আবার বিজ্ঞান কে দুই ভাগে যথা-

  • বর্ণনাধর্মী বিজ্ঞান ও
  • ব্যবহারিক বিজ্ঞান।

সাধারণভাবে বলা যায় বিষয়নিষ্ঠ বিজ্ঞানই হলো বর্ণনাধর্মী বিজ্ঞান।

কলাবিদ্যা হিসেবে যুক্তিবিদ্যার যুক্তিবিদ:

অলড্রিচ মনে করেন যে, যুক্তিবিদ্যা কেবল কলাবিদ্যা। কলাবিদ্যা হিসেবে যুক্তিবিদ্যার কযেকটি বৈশিষ্ট্য নিম্নে তুলে ধরা হলো-

  • যুক্তিবিদ্যা তার নিজস্ব বিষয় সম্পর্কে অত্যন্ত যত্নশীল এবং সঠিক চিন্তনের দাবী রাখে এবং অন্য বিষয় পাঠে অনুরূপ যত্নশীলতার অভ্যাস গড়ে আমাদেরকে সাহায্য করে।
  • বৈধ যুক্তির সাধারণ নিয়মাবলী সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান দান করে এবং এর ফলে আমরা নিজের ও অন্যের যুক্তির যথার্থতা পরীক্ষা করে দেখতে পারি। যুক্তি প্রদান ও যুক্তি বিচার করার ক্ষেত্রে আমাদেরকে নিয়মগুলো ব্যবহার করতে হয়।
  • আমাদেরকে ভাষাগত ভ্রান্তি সম্পর্কে সচেতন করে তোলে যুক্তিবিদ্যা এবং এর ফলে যুক্তি প্রদর্শনকালে আমরা অধিক সাবধানতা অবলম্বন করতে পারি পারি এবং অনেক ক্ষেত্রে যুক্তির ভুল এড়াতে পারি। সর্বোপরি, যুক্তিবিদ্যা যুক্তি প্রদর্শন বা প্রয়োগে আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে, প্রতীকী যুক্তিবিদ্যার ক্ষেত্রে তাত্ত্বিক জ্ঞান প্রাপ্তির পাশাপাশি যুক্তির বৈধতা ও অবৈধতা সম্পর্কিত প্রচুর অনুশীলনী চর্চার ফলে বাস্তব যুক্তি প্রয়োগে আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে। যুক্তিবিদ্যার ব্যবহারিক মূল্যের কারণেই যুক্তিবিদ্যাকে কলাবিদ্যা বলে অভিহিত করা হয়।

যুক্তিবিদ্যা বিজ্ঞান না কলা এ সম্পর্কে আমার নিজস্ব মতামত :

যুক্তিবিদ্যা একটি বিজ্ঞান; কারণ এটি নির্ভুল চিন্তার নিয়মাবলী নির্দেশ করে এবং শুদ্ধ চিন্তার নিয়মাবলী নির্দেশ করে এবং শুদ্ধ চিন্তা কাকে বলে সেটি শিক্ষা দেয়। আর সেই সাথে এটি একটি কলাবিদ্যাও। কারণ যুক্তিবিদ্যার শুধুমাত্র চিন্তা বা যুক্তির সাধারণ নিয়মাবলী নির্দেশ করেই ক্ষান্ত হয় না, সাথে সাথে চিন্তা বা যুক্তিকে সঠিকভাবে প্রয়োগ এর কলা-কৌশলও দান করে। তাই যুক্তিবিদ্যায় যেমন রয়েছে তাত্ত্বিক দিক, তেমনি রয়েছে এর ব্যবহারিক বা প্রয়োগের দিক। অতএব, যুক্তিবিদ্যাকে বিজ্ঞান বলা হয় হিসেবেই গণ্য করা যায়।

উপসংহার : যুক্তিবিদ্যা যেমন যুক্তি ব্যবহারের কিছু নিয়মকানুন শিক্ষা দে,য় তেমনি সেগুলো প্রয়োগের পদ্ধতি ও শিক্ষা দেয়। যুক্তিবিদ্যা যেমন বিজ্ঞান তেমনি কলাবিদ্যাও। প্রতিটি কলাবিদ্যার একটি উদ্দেশ্য থাকে যুক্তিবিদ্যারও একটি উদ্দেশ্য আছে আর তা হল সত্যতা প্রতিষ্ঠা। যুক্তিবিদ কার্ভেথরিড বলেন, ‘এটি একটি বিজ্ঞান কারণ তা কতগুলো সার্বিক নিয়ম প্রকাশ করে আবার কলা এই অর্থে যে, সে নিয়মগুলো একটি লক্ষ্য হিসেবে সত্যকে অর্জন করার জন্য প্রণীত হয়।” মধ্যযুগের যুক্তিবিদ ডান্স স্কটাস যুক্তিবিদ্যাকে সব বিজ্ঞানের সেরা বিজ্ঞান এবং সব কলার সেরা কলা হিসেবে মন্তব্য করেন।

এই ছিল তোমাদের জন্য প্রণীত এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ যুক্তি বিদ্যা প্রথম পত্র ১ম অ্যাসাইনমেন্ট এর বাছাইকরা নমুনা উত্তরযুক্তিবিদ্যা বিজ্ঞান ও কলা উভয়ই- ধারণাটির যথার্থতা যাচাই।

আরো দেখুন-

Tags

Siam Shihab

Hello, I'm Siam Shihab. I write Content about all Trending News and Information. I'm working on this Website since June 2021. You can Visit my Profile page to read all of my content. Thank You so much to know about me.
Back to top button
Close