Assignment

ব্যক্তি, কর্ম ও সমাজ জীবনের উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা নিয়ে একটি প্রতিবেদন

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করছি সবাই ভালো আছো। তোমরা কি ৭ম শ্রেণি একাদশ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২৩ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এর উত্তর সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছো? কিংবা এসাইনমেন্টটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে বলবো তোমরা ঠিক ওয়েবসাইটে এসেছো। তোমাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে রয়েছে ৭ম শ্রেণির একাদশ সপ্তাহের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্টের বাছাইকরা উত্তর- ব্যক্তি কর্ম ও সমাজ জীবনের উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা নিয়ে একটি প্রতিবেদন।

৭ম শ্রেণি একাদশ সপ্তাহ এ্যাসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT)

২০২৩ সালের সপ্তম শ্রেণির একাদশ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইসিটি পাঠ্য বইয়ের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে প্রথম অধ্যায় প্রত্যহ জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি থেকে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রণীত সপ্তম শ্রেণির একাদশ সপ্তাহের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস এর আলোকে শিক্ষার্থীরা ব্যক্তি জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, কর্ম ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং সমাজ জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংক্রান্ত পাঠসমূহ অধ্যায়ন করার পর একাদশ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করবে।

নিচের ছবিতে সপ্তম শ্রেণির একাদশ সপ্তাহে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক অ্যাসাইনমেন্ট বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো

ICT-Class-7-768x544

শ্রেণিঃ ৭ম, বিষয়ঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, অ্যাসাইনমেন্ট নং-০১, অধ্যায় ও শিরোনাম: ০১ (প্রত্যহ জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি)

অ্যাসাইনমেন্টঃ ব্যক্তি, কর্ম ও সমাজ জীবনের উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করো ( অনূর্ধ্ব ২৫০ শব্দ)

নির্দেশনাঃ

  • ১. পাঠ্যবইয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর পর্যাপ্ত ধারণা অর্জন করা;
  • ২. প্রয়োজনে বাবা, মা বা অভিভাবকের সহযোগিতা নেয়া;
  • ৩. বর্তমান পরিস্থিতির কারণে মোবাইল বা যেকোনো ভার্চুয়াল মিডিয়া সাহায্যে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া;
  • ৪. ইন্টারনেটের সাহায্য নেয়া;
  • ৫. স্বহস্তে প্রতিবেদনটি লিপিবদ্ধ করা;

আরো দেখুন- :৭ম শ্রেণি একাদশ সপ্তাহ এ্যাসাইনমেন্ট ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

৭ম শ্রেণি একাদশ সপ্তাহ এ্যাসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) এর বাছাইকরা নমুনা উত্তর

অ্যাসাইনমেন্ট পেপার এ উল্লেখিত নির্দেশনা ও মূল্যায়ন রুবিক্স সমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নমুনা উত্তর প্রস্তুত করে দেওয়া হল।

ব্যক্তি, কর্ম ও সমাজ জীবনের উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা

আধুনিক সভ্যতার ক্রমবিকাশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব অপরিসীম। টেকসই উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন,কর্মসংস্থান সৃষ্টি সর্বোপরি মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সরাসরি প্রভাব লক্ষ্যণীয়।

আইসিটির উন্নয়ন মানব সমাজের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রকে পরিবর্তিত করেছে এবং বিভিন্নভাবে আমাদের জীবন যাত্রাকে প্রভাবিত করছে। সমাজ জীবনে আইসিটির প্রভাব কখনো ইতিবাচক আবার কখনো নেতিবাচক। বর্তমান বিশ্বে আইসিটির অন্যতম প্রধান একটি সেবা হচ্ছে ইন্টারনেট। এর মাধ্যমে এখন খুব সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে খবর পাঠানো যায়।

ব্যন্ডউইথ, ব্রডব্যন্ড ইত্যাদির কর্মদক্ষতা ও ইন্টারনেট সংযোগের গতির প্রেক্ষিতে যে কোন তথ্য এখন মুহূর্তের মধ্যে পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পাঠানো সম্ভব। নিচে বিভিন্ন ক্ষেত্র গুলো বর্ণনা করা হলোঃ

ব্যক্তি জীবনে তথ্য প্রযুক্তিঃ

আধুনিক জীবনের সাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে আজকের এই নগর সভ্যতার দিকে তাকালে আমরা এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন লক্ষ করতে পারি। এই যুগান্তকারী পরিবর্তন এনে দিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। সমাজের যে স্তরে এখনো বিজ্ঞানের ছোঁয়া লাগেনি সে স্তরে এখনো উন্নতির ছোঁয়া প্রবেশ করতে পারেননি। তাই বলা যায় যে সভ্যতার উন্নয়নের মূলে রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। পিটার থেইল বলেছেনঃ

“Technology just means information technology.”

সাম্প্রতিককালে তথ্য প্রযুক্তির যে বিস্ময়কর উন্নতি সাধিত হয়েছে তা প্রযুক্তি বিজ্ঞানেরই অবদান পৃথিবীতে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে কোন না কোনভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করেনি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের বড় বড় কাজে ব্যবহার হচ্ছে। ঘুমাতে যাওয়া থেকে শুরু করে ঘুম থেকে জেগে উঠা পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্তে আমারা প্রযুক্তির ব্যাবহার করে আসছি। ব্যক্তিগত জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রসমূহ হলঃ

  • ক) ব্যক্তিগত যোগাযোগ
  • খ) বিনোদন
  • গ) জিপিএস (GPS: Global Positioning System)
  • ঘ) কম্পিউটার ব্যবহার করে গান শোনা
  • ঙ) ই-বুক ব্যবহার করে বই পড়া
  • চ) কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে যোগাযোগ
  • ছ) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘরে বসেই পরীক্ষার ফলাফল জানা যায়।
  • জ) মোবাইল ফোন ব্যবহার করে টাকা পাঠানো এবং গ্রহণ করা যায়।
  • ঝ) অনলাইন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে ঘরে বসেই চাকরির দরখাস্ত করা যায় এবং পরীক্ষার প্রবেশপত্র অনলাইন থেকে প্রিন্ট করা যায়।
  • ঞ) অনলাইন টিকিটিং সিস্টেমের মাধ্যমে ঘরের বাইরে বা স্টেশনে না গিয়েই ট্রেন ও প্লেনের টিকিট কেনা যায়।
  • ট) ইন্টারনেটে ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় পণ্যের অর্ডার দেওয়া এবং বিল পরিশোধ করা যায়।

কম্পিউটার-নির্ভর ইন্টারনেট প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে সমগ্র বিশ্বটিই এখন এক বিশাল তথ্যভান্ডারে পরিণত হয়েছে। নুতন নুতন তথ্যের সমাবেশ ফলে তথ্যের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপযুক্ত তথ্য পাওয়ার গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাচ্ছে। কারণ, মানুষের নিজের পক্ষে সব তথ্য মনে রাখা বা হাতের কাছে পাওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন ভালো যোগাযোগব্যবস্থা।

ব্যক্তি কর্ম ও সমাজ জীবনের উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা

সম্প্রতি কোভিড-১৯ এর কারনে প্রযুক্তির ব্যাবহার অনেক গুরুত্ব পেয়েছে। মহামারি পরিস্থিতে মানুষ গৃহবন্দি থাকলেও যোগাযোগ থেমে ছিল না। ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যাবহার করে একে অন্নের খবর নিতে পরেছে, অন্যদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পেরেছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষদের কোভিড-১৯ এর সম্পর্কে সচেতন করেছে এবং এর থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানিয়েছে। তাছাড়া অসহায় দুঃস্থ মানুষদের আর্থিক সহায়তার জন্য বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক সংস্থা কে অনুদান দিয়ে সহায়তা করা সম্ভব হয়েছে। যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতির কারণে বাসা থেকে অনলাইনে পাঠদান সম্ভব হয়েছে।

কালের বিবর্তনে মানব জীবন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তথ্য ও যোগাযোগ এর অবদান রয়েছে মানব জীবনে বিজ্ঞানের এ ব্যবহারকে ইতিবাচক দিকে রাখতে হবে তথ্য ও প্রযুক্তির আলোয় প্রতিটি মানুষকে আলোকিত করতে হবে সমস্ত কলুষতা থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে মুক্ত করার জন্য সকল ধরনের অপব্যবহার থেকে তথ্য কে সরিয়ে রাখতে হবে তবেই মানবসভ্যতা যথার্থ উন্নয়ন সম্ভব।

সমাজ জীবনে তথ্য প্রযুক্তিঃ

আবার ইন্টারনেট ব্যবহার করলে যোগাযোগ খরচ অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম যেমন- টেলিফোন, কুরিয়ার সার্ভিস এগুলোর তুলনায় অনেক কম হয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষ অনেক বেশি তথ্য সেবা পেতে পারে। কারণ, ইন্টারনেটের সংযোগ খরচ তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। এভাবেই আইসিটি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন করছে। আইসিটির অগ্রগতি ফলে দিন দিন কাগজের ব্যবহার হ্রাস পাচ্ছে। আইসিটির প্রভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাও অনেক পরিবর্তন হয়েছে। দূরশীক্ষণ, অনলাইন টিউটোরিয়াল ইত্যাদির মাধ্যমে এখন ঘরে বসেই লেখাপড়া করা সম্ভব হচ্ছে।

আইসিটি উন্নয়নের ফলে কর্মক্ষেত্রেও অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন- আইসিটি কল্যাণে বিভিন্ন শিল্প কারখানায় রোবোট ব্যবহার করে ২৪ঘন্টা কার্য পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে যা কখনোই একজন মানুষকে দ্বারা সম্ভব নয়। আবার অনেক কাজ কর্মক্ষেত্রে না গিয়ে ও ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা যাচ্ছে।এর ফলে আসা যাওয়ার সময় ও খরচ বাঁচানো যাচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মিডিয়া ও প্রযুক্তির মূল ব্যবহারকারী হচ্ছে এদেশের তরুণ সমাজ। এটা অবশ্যই অনেক ভালো দিক যে, আমাদের দেশের তরুণ-তরুণীরা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে। কিন্তু কথা হচ্ছে, মিডিয়া ও প্রযুক্তির ব্যবহারে আমাদের তরুণ তরুণীরা কতোটুকু সচেতন?

আমি একটা কথাই বলতে চাই, শিক্ষিত ও সচেতন তরুণ সমাজ অবশ্যই মিডিয়া ও প্রযুক্তির সুফল ভোগ করছে। শুধুমাত্র মিডিয়া ও প্রযুক্তিকে ব্যবহার করেই আমাদের শিক্ষিত তরুণ সমাজ গড়ে তুলেছে এক বিশাল কর্মক্ষেত্র। কিন্তু বর্তমান শহরে জীবন হতে শুরু করে গ্রামের অর্ধশিক্ষিত এবং অশিক্ষিত তরুণরাও খুব সহজে পেয়ে যাচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির ছোয়া।

ব্যক্তি কর্ম ও সমাজ জীবনের উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা

কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেরই সচেতনতা নেই। সে কারণে মিডিয়া ও প্রযুক্তির অপব্যবহার হচ্ছে বেশি। বেড়ে যাচ্ছে আত্মহত্যা, খুন, অপহরণ ও ইভটিজিংসহ নানা ধরনের সামাজিক অপরাধ। আমাদের টিভি চ্যানেলগুলো সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক মনভাবাপন্ন। বিজ্ঞাপন মিডিয়াকে পুরো পুরি গ্রাস করে ফেলছে। আর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নারী পুরুষ সকলেই পণ্যে পরিণত হচ্ছে। যেখানে সচেতনতার চেয়ে পুঁজি ও মুনাফাই প্রধান।

কিছু রাজনৈতিক নেতা ইন্টারনেট প্রযুক্তিকে ভয় পান। এতে হয়তো জনগণের মত প্রকাশ দৃশ্যমান হয়ে পড়বে! লিবিয়ান প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফি অন্যতম! কিছু চাইনিজ ব্লগার সবার আগে ব্লগিংয়ের দ্বারা সরকারের সমালোচনা শুরু করে। কিছু দেশের সরকার এতে বাধা তৈরি করে।

এখন ভাবার সময় চলে এসেছে, কিভাবে প্রযুক্তি সমাজে প্রভাব বিস্তার করে। কিসে আমাদের জনগণ ভালো। সব প্রযুক্তি মানব কল্যাণে তৈরি ভাবলেও তা কিছুটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলকও। যা আমরা খোলা চোখে দেখতে পারি না। নিজস্ব সংস্কৃতি আর ইতিহাসের প্রতি সমুন্নত থাকলেই কেবল সকল প্রকার প্রযুক্তির খারাপ দিক গুলো এড়িয়ে লাভটা আদায় করে নেওয়া সম্ভব।

তবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর করছে ব্যক্তির নিজস্ব চিন্তা ও চেতনার উপর। কেউ ইচ্ছে করলে একে খারাপ কাজে ব্যবহার করতে পারেন, আবার ভালো কাজেও ব্যবহার করতে পারেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সমাজের জন্য এক বিরাট আশীর্বাদ। তাই এর নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, দ্রুত প্রসার এবং উন্নয়ন পৃথিবীকে আরও সুন্দর এবং সমৃদ্ধ করবে।

কর্ম জীবনে তথ্য প্রযুক্তিঃ

কর্মক্ষেত্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িতে তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ব্যবহার সাম্প্রতিক বছরগুলিতে প্রশংসনীয়ভাবে বেড়েছে। আধুনিক আইসিটি পণ্য এখন বেশিরভাগ লোকের জন্য সহজেই উপলব্ধ। এগুলির আইপড, মোবাইল ফোন, ব্যক্তিগত সংগঠক এবং ডিজিটাল টিভি থেকে শুরু করে স্যাটেলাইট যোগাযোগ প্রযুক্তি, ব্যক্তিগত কম্পিউটার এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব পর্যন্ত রয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি যেহেতু আরও পরিশীলিত হয়ে উঠেছে এটি আরও অর্থনৈতিক এবং অ্যাক্সেসযোগ্য হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ দক্ষতা আর কম্পিউটিং বিশেষজ্ঞের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। অফ-শেল্ফ পণ্যগুলি অ-বিশেষজ্ঞদেরকে নতুন জ্ঞান এবং তথ্য নেটওয়ার্কগুলি তৈরি করার জন্য আইসিটিগুলির সুবিধা নেওয়ার সুযোগ দেয়। আমরা যেভাবে যোগাযোগ করি এবং জ্ঞান প্রার্থনা করি তা রূপান্তরিত হয়েছে।

ব্যক্তি কর্ম ও সমাজ জীবনের উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা

মোবাইল ফোন এবং ই-মেইলের মতো যোগাযোগের সাধারণ ফর্মগুলির মাধ্যমে লোকেরা তাত্ক্ষণিকভাবে অ্যাক্সেসযোগ্য। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব জনগণের অ্যাক্সেসকে প্রচুর পরিমাণে তথ্য এবং জ্ঞানের হস্তান্তরকে এমন এক পর্যায়ে সক্ষম করে যা পূর্বে কল্পনাও করা হয়নি। সম্প্রদায় পরিষেবা পেশাদারদের জন্য এই নতুন প্রযুক্তিটি সর্বাধিক তথ্য পুনরুদ্ধার এবং আদান-প্রদানের পাশাপাশি বৈদ্যুতিন প্রকাশের মাধ্যমে তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে।

এটি ব্যক্তিদের তাদের বাড়ি বা অফিস বেস থেকে বিশ্বজুড়ে অন্যান্য ব্যক্তির সাথে তাত্ক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করতে সক্ষম করে। ক্যাফে এবং অন্যান্য জায়গাগুলিতে ওয়্যারলেস সংযোগ ল্যাপটপের মাধ্যমে যোগাযোগের আমাদের সুযোগগুলিও বৃদ্ধি করেছে। সুতরাং বলা যায়, সর্বক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে।

আরো দেখুন-

 

Tags

Siam Shihab

Hello, I'm Siam Shihab. I write Content about all Trending News and Information. I'm working on this Website since June 2021. You can Visit my Profile page to read all of my content. Thank You so much to know about me.
Back to top button
Close